
জনপ্র্রিয় ডেস্ক: জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানকে মঙ্গলবার
কাশিমপুর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনার পর থেকেই প্রশ্নটি উঠে আসছে, কখন
কার্যকর হচ্ছে ফাঁসি? বুধবার
এ নিয়ে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেনের সংবাদ সম্মেলন এবং পাল্টা
হিসেবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের বক্তব্য,
স্বজনদের কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের
সঙ্গে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনের বৈঠক- এসব ঘটনা
পরম্পরায় মনে হচ্ছে, কামরুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর সময়ের ব্যাপার
মাত্র। সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলীকে জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি কোন কিছু বলতে
অপরাগতা প্রকাশ করেন। তবে কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার
শর্তে বলেন, ‘কামরুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরে প্রস্তুত রয়েছে
কারা কর্তৃপক্ষের।’ জানা
গেছে, সোমবার রাতে কারা কর্তৃপক্ষ ফাঁসির মহড়া দেয়। ওই
মহড়া দেয়ার পরেই কামারুজ্জামানকে ঢাকায় আনা হয়।
বুধবার
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেছেন তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে,
চাচাসহ ১০ স্বজন। বুধবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট থেকে বেলা ১১টা ৮ মিনিট
পর্যন্ত তার কারাগারের ভেতরে সাক্ষাৎ করেন। ওই ঘটনার পরেই মূলত ফাঁসি কার্যকরের
বিষয়ে নানা ডালপালা ছড়ায়। তবে সিনিয়র জেলসুপার বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমরা
তাদের (স্বজন) সাক্ষাৎ করার জন্য ডাকিনি। নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে তারা
সাক্ষাৎ করতে এসেছেন।’

বেলা ১টা ৫ মিনিটে সুপ্রিমকোর্ট বার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কামারুজ্জামানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন বলেন, ‘চূড়ান্ত রায়ের লিখিত কপি বের না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকর করা হবে বেআইনি।’
তার এই বক্তব্যের জবাবে দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বলেন, ‘জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। সরকার যখন চাইবে তখনই ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে। কেননা এ মামলায় আপিলের চূড়ান্ত রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার সুযোগ নেই।’
এই অবস্থার মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বুধবার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দে ইফতেখার উদ্দিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন