
জনপ্রিয়: কমিউনিটি মিনিস্টার এরিক পিকলস এ মুহূর্তে টাওয়ার হ্যামলেটস শুধু নয়, গোটা লন্ডনসহ সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে এক আলোচিত নাম। অনেকের কাছেই তিনি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে এক মানবতাবাদী যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত। অথচ নির্মম এক বাস্তব সত্য হলো- এই সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক মানবতাবাদী যোদ্ধা, কমিউনিটি মিনিস্টার এরিক পিকলস প্রচন্ড উচ্চাভিলাষী জীবন-যাপন করেন। কেবলমাত্র তার যাতায়াত ভাড়ার খরচের তালিকা দেখলেই যে কেউ শিউরে উঠবেন। অনেক প্রশ্নের অজানা উত্তর মিলে যাবে সহজেই।ডেইলি মিররের ৯ নভেম্বরের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, এরিক পিকলস তার যাতায়াতের জন্য মাত্র তিন বছরেই পাঁচ’শ হাজার পাউন্ড খরচ করেছেন। এই মন্ত্রী ২০১২ সালে মিনিস্টারিয়েলস কার বাবত ২,৪৭,৭৭৫ পাউন্ড এবং ২০১৩ সালে একই খাতে ১,৮৫,৯৩৫ পাউন্ড খরচ করেছেন। অথচ গত ছয় মাসে সেই খরচের হিসেব বৃদ্ধি পেয়ে ১১% হয়েছে যা ১,০৩,০৯১ পাউন্ড বলে জানা গেছে। এরিক পিকলস পার্লামেন্টে স্পষ্টতই বলেছেন, তিনি চাচ্ছেন সরকারি খরচের ক্ষেত্রে কৃচ্ছতা সাধন। এই শতাব্দীতে টাওয়ার হ্যামলেটস এর মতো রটেন বারাকে কোনভাবেই বিনা চেকে চলতে দেয়া যায় না বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। অথচ মি. এরিক পিকলসের খরচের খাতায় কিন্তু সেই কৃচ্ছতা আর রটেন বারার সম্পূর্ণ বিপরীত একচিত্র ফুটে উঠেছে। এরিক পিকলসের অফিস থেকে ওয়েস্ট মিনিস্টার অফিস মাত্র দুই স্টপ ব্যবধান। আর এই দুই স্টপের মাঝে মাত্র ৪ পাউন্ড ৪০ পেনি ভাড়া। পুরো বছরের ট্র্যাভেল কার্ড সেই হিসেবে মাত্র ১,২৫৬ পাউন্ড।সেখানে এরিক পিকলসের লাক্সারি লিমুস ভাড়া বাবত খরচ ৫০০,০০০ পাউন্ড! স্বাভাবিকভাবেই এটা অনেক বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। যদিও সরকারিভাবে তিনি দুটো গাড়ির ভাতা পেয়ে থাকেন। বিগত লেবার সরকার ছয়টি থেকে নামিয়ে দুটো গাড়ির সুবিধা চালু করেছিলেন।
প্রশ্ন হলো কৃচ্ছতার কথা বলে, নিজেই খরচের খাতায় জনগণের ট্যাক্সের টাকা ব্যয়বহুল যাতায়াত বাবত ব্যয় করা- সেটা নিয়ে এবার কি বলেন কমিউনিটি মিনিস্টার এরিক পিকলস ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন