বাংলাদেশী তরুণ ইব্রাহিম খলিলের ফ্রান্স জয় - JONOPRIO24

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০১৬

বাংলাদেশী তরুণ ইব্রাহিম খলিলের ফ্রান্স জয়

আব্দুল করিম,(প্যারিস),ফ্রান্স : সততা,নিষ্ঠা আর কঠোর পরিশ্রম করে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন প্যারিসে বসবাসরত বাংলাদেশের ইব্রাহিম খলিল। জয় করে নিলেন শিল্প সাহিত্য ও 

সংস্কৃতির লীলাভূমি ফ্রান্সকে। ফ্রান্সে বসবাসরত প্রায় ৫০ হাজার প্রবাসীদের মুখে এখন বইছে আলোচিত একটি নাম ইব্রাহিম খলিল । এ বছর ফ্রান্সের সর্বোচ্চ রাবেলাইস ইয়াং ট্যালেন্ট `২০১৬ প্রতিযোগিতায় ১৬শত প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে জিতেছেন তিনি । এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাকে পুরস্কৃত করেন ফ্রান্সের শ্রম মন্ত্রী মরিয়ম এল কমরি। গত ১৪ মার্চ সোমবার বিকেলে প্যারিসের বন নভেলের অভিজাত একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জুলিয়া ভিগ্নালি ও সেবাস্তিয়েন দেমরান্দের

প্রানবন্ত উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিজিএডি এর প্রেসিডেন্ট জিয়ান পিয়ের ক্রুজেট।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের শ্রমমন্ত্রী মরিয়ম এল কমরি। এ সময় বক্তব্য রাখেন আন্দ্রে রেনুদিন,পিয়ের লেবলানক,ভিনসেন্ট লইজেইল,সার্জ ক্রুইন,ফ্রেদেরিক চেনট,গিলবার্ট রেবেয়রলে,বেনিত ফেয়্তীত প্রমুখ। ফরাসী শ্রমমন্ত্রী ও অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করা ২০বয়সী তরুণ ইব্রাহিম খলিলের ভূয়সী প্রশংসা করেন।এ সময় উপস্থিত ৩হাজার দর্শক করতালির মাধ্যমে তাকে অভিনন্দন জানান। সেই সাথে ইব্রাহিম খলিলের হাতে তুলা দেয়া হয় ক্রেস্ট, চেক ও উপহার সামগ্রী। ১১টি ক্যাটাগরিতে ফ্রান্সের তরুণ প্রতিভাবানদের নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় প্রতি বছর ৩৩জনকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়। ফ্রান্সের সর্বোচ্চ রাবেলাইস ইয়াং টেলেন্ট প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এই প্রথম কোন বাংলাদেশি তরুণ রান্না বিষয়ক ক্যাটাগরিতে প্রথম হলো। অসাধারণ ফ্রেন্চ খাবার প্রস্তুতকারী হিসেবে সুনাম অর্জনকারী ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করা ইব্রাহিম খলিল বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার বরুরা উপজেলার আগা নগর গ্রামের পাইনজাত আলী ও আয়েশা আক্তারের দ্বিতীয় পুত্র।২ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে সে সবার ছোটো। ২০০৭ সালে ঢাকা মিশন স্কুল শ্যামলী মোহাম্মদ পুর থেকে এসএসসি, ২০০৯ সালে পায়োনিয়ার ডিগ্রী কলেজ মিরপুর থেকে এইচএসসি কৃতিত্বের সাথে পাশ করে। পরবর্তিতে মিরপুর সরকারী বাংলা কলেজে বোটানিতে অধ্যায়ন কালে ২০১২ সালে ফ্রান্সে চলে আসে। ফ্রান্সে আসার পর জীবনের সাফল্যর লক্ষে এগুতে থাকে। অল্প দিনের মধ্যে সে তার গন্তব্য লক্ষে পৌছতে সক্ষম হয়। অনুষ্ঠান শেষে একান্ত সাক্ষাতকারে ইব্রাহিম খলিল এ প্রতিবেদককে বলেন, এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত বাংলাদেশের হয়ে এ প্রতিযোগিতায় আমি সফলতা পেয়েছি। বাংলাদেশের সম্মান বয়ে এনেছি। এ প্রতিযোগিতায় জয়ী হবো এ আত্মবিশ্বাসে দীর্ঘদিন থেকে পরিশ্রম করে আসছি। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য আরো ভাল কিছু করতে চাই। ফ্রান্সে বাংলাদেশের রেস্তোরাঁয় প্রতিযোগিতা আসলে আগামী প্রজন্মের জন্য উজ্জল সম্ভাবনা থাকবে বলে মনে করেন তিনি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Top Ad

Responsive Ads Here