স্পেনের সমুদ্র তীরে জীবাণুনাশক স্প্রে, পরিবেশবাদীদের ক্ষোভ - JONOPRIO24

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, ২ মে, ২০২০

স্পেনের সমুদ্র তীরে জীবাণুনাশক স্প্রে, পরিবেশবাদীদের ক্ষোভ


জনপ্রিয় অনলাইন : শিশুদের করোনাভাইরাস থেকে রক্ষাকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে স্পেনের সমুদ্র তীরে জীবাণুনাশক ছিটিয়েছে একটি অবকাশ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ। কাদিজ অঞ্চলের জাহারা দ্য লস আতুনস নামের ওই অবকাশ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ট্রাক্টর ব্যবহার করে দুই কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা জুড়ে জীবাণুনাশক ছিটিয়েছে। পরিবেশবাদীরা বলছেন, এর ফলে সেখানকার বাস্তুসংস্থানের মারাত্মক ক্ষতি হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সমালোচনার পর ক্ষমা চেয়েছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।


করোনাভাইরাসের মহামারি কবলিত প্রথমসারির দেশগুলোর অন্যতম স্পেন। ভাইরাসটির কারণে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানকার ২৩ হাজার আটশোরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে গত ১৪ মার্চ দেশটিতে কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়। প্রায় দেড়মাসেরও বেশি সময় পর গত ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম বারের মতো বাড়ির বাইরে বের হওয়ার অনুমতি পেয়েছে দেশটির শিশুরা। এর একদিন আগেই জাহারা দ্য লস আতুনস অবকাশ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ সমুদ্র তীরে জীবাণুনাশক ছেটায়।

কাদিজ অঞ্চলের একটি স্বেচ্ছাসেবী পরিবেশবাদী গ্রুপের প্রধান মারিয়া ডোলারিস ইগলিসিয়াস জানিয়েছেন, তিনি নিজে ওই সমুদ্র তীর এলাকা ঘুরে ক্ষতির পরিমাণ দেখে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘জীবাণুনাশকে মাটির সবকিছু মরে গেছে, কোনও কিছুই দেখা যায় না, এমনকি কিট পতঙ্গও নেই।’ ওই এলাকাটি পরিযায়ী পাখিদের বাসস্থান ও ডিম পাড়ার জন্য সংরক্ষিত, কিন্তু ডোলারিস ইগলিসিয়াস জানিয়েছেন, সেখানে একটি পাখির বাসাও তার চোখে পড়েনি। এছাড়া ট্রাক্টরের চাকায় নষ্ট হয়ে যাওয়া পাখির ডিমও দেখেছেন তিনি।
স্পেনের সংবাদমাধ্যমকে মারিয়া ডোলারিস ইগলিসিয়াস বলেন, ‘ব্লিচ খুব শক্তিশালী জীবাণুনাশক, এটি রাস্তা বা অন্য কোনও জায়গার জীবাণু মেরে ফেলতে ব্যবহার করা যৌক্তিক কিন্তু এখানে যে ক্ষতি হয়েছে তা নৃশংস।’ তিনি জানান লকডাউনের কারণে মানুষের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ায় সমুদ্র তীরে বণ্যপ্রাণী চরে বেড়াতে শুরু করে। এরমধ্যেই জীবাণুনাশক ছেটানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সমুদ্র তীরের নিজেরই পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা আছে জীবাণুনাশক ছেটানোর দরকারই ছিলো না।’
স্থানীয় কর্মকর্তা অগাস্টিন কোনেজো স্বীকার করে নিয়েছেন এটা ভুল পদক্ষেপ ছিলো। তিনি বলেন, ‘আমি স্বীকার করছি এটা ভুল, কিন্তু ভালো উদ্দেশ্য থেকেই এটা করা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘ছয় সপ্তাহ ঘরে বন্দি থাকা শিশুদের মধ্যে যারা সমুদ্র দেখতে আসবে তাদের নিরাপদ রাখতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।’ সেখানকার আঞ্চলিক সরকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করার কথা বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে সেখানকার দৈনিক এল পাইস।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Top Ad

Responsive Ads Here