বিয়ানীবাজারে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন ঘাতক স্বামীর থানায় আত্মসমর্পণ - JONOPRIO24

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, ২০ মার্চ, ২০১৬

বিয়ানীবাজারে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন ঘাতক স্বামীর থানায় আত্মসমর্পণ

সুফিয়ান আহমদ,বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ ধারালো দা দিয়ে নিজ স্ত্রীকে উপর্যপুরি কুপিয়ে খুন করে

থানা পুলিশের হাতে ধরা দিল স্বামী। গতকাল রোববার বিকেলে বিয়ানীবাজার পৌরসভার শ্রীধরাবাজারস্থ নিমার আলী মিয়ার কলোনীতে লোমহর্ষক এই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশ জানায়, বিয়ানীবাজার পৌরসভার শ্রীধরা গ্রামের নিমার আলীর কলোনীর দুটি কক্ষে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন ছিদ্দিক আহমদ (৩৫)। সে শ্রীধরা গ্রামের আলাউদ্দিনের পুত্র। পারিবারিক কলহের জের ধরে রোববার বিকেলে অনুমান সাড়ে তিনটার সময় বটি দা দিয়ে স্ত্রী আয়েশা বেগমের (২৮) ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ দেয়। দায়ের কোপে আয়েশা মাটিতে লুটিয়ে  পড়ে। এরপর প্রচন্ড রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার ঘন্টাখানিক পর ঘাতক স্বামী ছিদ্দিক কক্ষে তালা দিয়ে  বিয়ানীবাজার থানায় গিয়ে বিস্তারিত বলে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করে। নিহত আয়েশা একই গ্রামের তাহির আলীর কন্যা। ছিদ্দিকের সাথে প্রায় ২ বছর পূর্বে তার বিয়ে হয়েছিলেও তাঁর । কিন্তু তাঁর কোন সন্তান না থাকলেও স্বামীর পূর্বের স্ত্রীর সন্তানদের নিয়েই ছিলো তাদের বসবাস। তবে কি কারণে এই হত্যাকান্ড এমনটি জানা যায় নি। লোমহর্ষখ এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায় । এব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জুবের আহমদ ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছিদ্দিকের কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় প্রথমে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হয়েছিলো। তারপরও সর্তকতামুলকভাবে তাকে থানা হেফাজতে রেখে ঘটানস্থলে গিয়ে তালা দেয়া কক্ষ থেকে আয়েশার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, ছিদ্দিক অপরাধ স্বীকার করায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Top Ad

Responsive Ads Here